অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। বিমান হামলার পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েও হামলা চালানো হয়েছে। এতে অন্তত চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অপর একটি হামলায় আরও এক ফিলিস্তিনির নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোমবার (৩ জুলাই) ভোরে জেনিন শহরে কমপক্ষে ১০ বার বিমান হামলা চালানো হয়। সেখানকার ভবনগুলো থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। ইসরায়েলের সাঁজোয়া যানের একটি বহর শহরের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
জেনিনে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের পরিচালক মাহমুদ আল-সাদি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আকাশ থেকে বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে এবং সরাসরি আক্রমণ চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, বেশ কিছু ভবন এবং বিভিন্ন স্থান লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। চারদিক থেকে ধোঁয়া উড়ছে।
এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অভিযানে অন্তত চারজন নিহত এবং আরও ১৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পৃথক একটি ঘটনায় পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ২১ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
ফিলিস্তিনি অ্যাম্বুলেন্স চালক খালেদ আলাহমাদ বলেন, জেনিনে শরণার্থী শিবিরে যা চলছে তা রীতিমতো যুদ্ধ বলা চলে। আকাশ থেকে ওই শিবির লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে। প্রতিবার আমরা প্রায় পাঁচ থেকে সাতটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে যাচ্ছি এবং আহত লোক নিয়ে গাড়িভর্তি হয়ে ফিরে আসছি।
পশ্চিম তীরে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার মধ্যেই সোমবার বিমান হামলা চালানো হয়। ২০০৬ সালের পর ওই অঞ্চলে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি বাহিনী ড্রোন হামলা চালিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে জেনিন এবং উত্তর ফিলিস্তিনি অঞ্চলে সামরিক অভিযান বৃদ্ধি এবং ফিলিস্তিনিদের গ্রামে বসতি স্থাপনকারীদের আক্রমণ আরও বেড়েছে।
এর আগে গত ২১ জুন ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় কমপক্ষে তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয় এবং ১৯ জুন জেনিনের ওপর হেলিকপ্টার থেকে চালানো হামলায় সাতজন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়। ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ট্রুমুস আইয়া গ্রামে হামলা চালিয়ে কয়েক ডজন গাড়ি ও বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার পরের দিন এক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
Leave a Reply